Monday, March 27, 2023

ফেসবুকের যে Attention Span এর কারনে এখানে পড়াশোনা করা উচিত না
পড়াশোনার জন্য বর্তমান প্রজন্মকে ফেসবুক এর উপর নির্ভরশীল করার ট্রেন্ড কতটুকু লজিক্যাল বা ইফেক্টিভ হচ্ছে?

ফেসবুকে কোনো লেখাতে ... See more লেখা দেখলেই সেটা পড়ার আগ্রহ 100% থেকে 0.1% এ নেমে যায়। অথচ একই লেখাই Quora তে পড়ার জন্য অনেকেরই ভালো আগ্রহ থাকে। এর পেছনে কারনটা হচ্ছে ফেসবুকে আমাদের Low Attention Span. 

আমাদের Attention Span প্রধাণত 4 ধরণের। 
- Sustained Attention 
- Selective Attention 
- Divided Attention 
- Alternating Attention 

ফেসবুকে বেশিরভাগ সময় Divided Attention Span কাজ করে। অর্থাৎ অল্প একটু স্ক্রলিং, হঠাৎ একটা ছবি, অল্প একটু ভিডিও, আবার ফাঁকে ফাঁকে মেসেজ / নোটিফিকেশন তো আছেই। একসাথে সব!

কিন্তু পড়াশোনার জন্য সবচেয়ে বেশি দরকার Sustained Attention - যেখানে দীর্ঘ সময় ধরে একটি মাত্র বিষয়ে মনোযোগ ধরে রাখতে হবে। তো, সেই কাজের অজুহাতে যদি ফেসবুক / মেসেঞ্জার গ্রুপ, বা পেইজের মাধ্যমে রেগুলার কন্টেন্ট দেয়া হয় তাহলে সেটা কতটুকু যুক্তিযুক্ত হবে? সম্ভবত সেখানে শিক্ষার্থীদের উপকারের পরিবর্তে তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থই বেশি থাকে।

তবে হ্যাঁ, ফেসবুক থেকে অন্য প্লাটফর্মে তাড়ানোর জন্য বা একেবারে ব্যাসিক / মোটিভেশনাল কিছুতে ফেসবুক ইউজ করা যেতে পারে।
Share:

Sunday, March 26, 2023

অনলাইনে আজীবনের জন্য ব্রেইন আপলোড সম্ভব হলে কেমন দুনিয়া হবে?

এমন একটা সময় যদি আসে, যখন মানুষের ব্রেইন আজীবনের জন্য অনলাইনে আপলোড করে রাখা সম্ভব হবে, তখন দুনিয়াটা কেমন হবে? 

রক্তমাংস সহ মস্তিষ্ক নয়, শুধুমাত্র আপনার-আমার চিন্তাগুলো একটি কম্পিউটারের মেমোরিতে সংরক্ষণ করা হবে। আমরা মারা গেলেও বছরের পর বছর ব্রেইন থাকবে জীবিত; একা একাই বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে থাকবে।

এই ব্যাপারটিকে অসম্ভব মনে হলেও ভবিষ্যতে এমনটাই ঘটার সম্ভাবনা আছে। চ্যাটজিপিটির মতো AI চালিত চ্যাটবট গুলো যদি এখনই মানুষের সেন্স, হিউমার বুঝে যেকোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে, তবে অনুরুপ অ্যালগরিদম প্রতিটা মানুষের জন্য আলাদা ভাবে ডিজাইন করা শুধু সময়ের বাকী!

বর্তমানে আপনার পরিচিত যত মানুষ আছে তাদের মধ্যে কতজন দৈনিক আপনার সাথে সরাসরি (face to face) কমিউনিকেশন করতে পারে? নির্দিষ্ট কয়েকজন বাদে অধিকাংশ মানুষই কিন্তু অনলাইন / সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আপনাকে অনুসরণ করে।

আপনার আইডি থেকে পোস্ট দেয়া হলে তারা ভাবে আপনি দিয়েছেন / খেয়াল করতেছেন; অথচ আপনি কিন্ত সারাক্ষণ পোস্টের সাথে নেই। আপনার মতো করে একটি ছবির সাথে নাম লাগিয়ে সেই প্রোফাইল দিয়ে আপনার চিন্তা বা কার্যক্রম গুলো প্রকাশ করার কারনে মনে হচ্ছে মানুষটা আপনি নিজেই।  

আবার চ্যাটিং এর সময় মনে হয়, একটি মানুষ আপনাকে রিপ্লাই দিচ্ছে। অথচ 'মেসেঞ্জার' প্রোগ্রামিং দিয়ে তৈরিকৃত শুধুমাত্র একটি অ্যাপ, যেটাকে কেউ যা কিছু লিখে দেয়, সেটাই অন্যজনের কাছে এমনভাবে পৌঁছে দেয়, মনে হয় যেন একটি মানুষ-ই রিপ্লাই দিচ্ছে।  

তাহলে বর্তমানে অনলাইনে জীবিত থাকার জন্য আপনাকে শুধুমাত্র এই অ্যাপ্লিকেশনগুলোকে কিছু নির্দেশনা দিতে হয়। এখন আপনি যেভাবে অ্যাপগুলোকে নির্দেশ দিতে পছন্দ করেন সেই আবেগ, অনুভূতি, চিন্তা, স্মৃতি গুলো যদি কম্পিউটার একবার রেকর্ড করে নিতে পারে তখন তো আর আপনাকে প্রয়োজন হবে না। ও একা একাই আপনার মতো করে পোস্ট দেয়া, মেসেজ দেয়া - সবকিছু পারবে।

তবে এই অসাধ্যকে সাধন করা সহজ কোনো কথাও না। কারন 86 বিলিয়ন নিউরন সমৃদ্ধ মানব মস্তিষ্কের অনুরুপ একটি তৈরি করতে যে পরিমান শক্তিশালী কম্পিউটার লাগবে তা এখনও বাজারে আসেনি।

আর যখন সম্ভব হয়েই যাবে, তখন আপনি বেঁচে না থাকা স্বত্তেও আপনার ব্রেইনকে সরাসরি কাজে লাগিয়ে জটিলতর বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা হবে। আবার এই টেকনোলজি-ই মানবজাতির জন্য বিভিন্নভাবে হুমকিস্বরূপও হতে পারে। ব্যাপারটিকে আপনার কাছে কেমন মনে হয়?

Share:

Monday, March 6, 2023

মৃত্যুর আগে এই এক্সামটা কেন বার বার দেয়া উচিত?

একটা ফাইনাল এক্সামের পূর্বে মিড টার্ম, ইনকোর্স, ক্লাস টেস্ট, মক টেস্ট সহ কত ভাবেই আমরা প্রিপারেশন নিয়ে নিজেকে প্রস্তুত করি। অথচ 'মৃত্যু' এমন একটি অবধারিত ল্যাব এক্সাম, যার তেমন একটা প্রিপারেশন নেয়া হয়েই উঠে না। অবশ্য এটা তো একটা 'অনটাইম' এক্সাম, তাই সরাসরি স্বাদ নিয়ে অনুধাবন করার কোনো উপায়ও থাকে না। ধর্মীয় বিধিনিষেধ গুলো মানতে থাকাবস্থায়-ই অটো প্রিপারেশন হয়ে যায়।

তারপরও আমার মনে হয়, আশেপাশে যে কারও মৃত্যুতে সরাসরি উপস্থিত থাকা Final Death এর পূর্বে একটা Mock Test of Death এর মতো। কল্পনায় মৃত ব্যক্তির স্থানে নিজেকে বা স্ব-পরিবারের কাউকে বসিয়ে অবশিষ্ট মানুষের অ্যাক্টিভিটি পর্যবেক্ষণ করলে এই তুচ্ছ পার্থিব জীবনের চরম বাস্তবতাগুলো কিছুটা হলেও অনুধাবন করা যায়। তবে তার চেয়েও বড় বাস্তবতা হচ্ছে, মৃত্যুর প্রতি সাময়িক এই অনুভূতি থেকে আমরা খুব দ্রুতই আবার স্বাভাবিক চিন্তা-চেতনায় ফিরে যাই; 'মৃত্যু' আবারও হয়ে যায় 'ঝাপসা', 'ঘোলাটে', 'অস্বচ্ছ'! 

So, as much as we can, we should visit the place of death at least to recharge our minds...

Share:

Sunday, February 12, 2023

সরাসরি মানুষের মস্তিষ্কে Ad. বসানো সম্ভব হলে দুনিয়াটা কেমন হবে?

এখন পর্যন্ত যেকোনো কোম্পানি বিজ্ঞাপন (Advertisement) দেয়ার ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে মানুষের 'চোখ' আর 'কান' -কে ব্যবহার করে পণ্য ক্রয়ের জন্য আকৃষ্ট করে। কোম্পানিগুলো বিজ্ঞাপনে যেসব পোস্টার, ব্যানার, বিলবোর্ড, ভিডিও, অডিও ব্যবহার করে সেগুলো আমরা প্রথমত (চোখ, কান) এই দু'টো ইন্দ্রিয় দিয়েই অনুভব করি। তারপর সেই তথ্য মস্তিষ্কের মাধ্যমে বিশ্লেষণ করে পণ্য কেনার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। 

অর্থাৎ (সম্ভবত) এখন পর্যন্ত কোনো টেকনোলজি অন্যান্য ইন্দ্রিয়ের (চোখ, কান) সাহায্য ব্যাতিত মানুষের মস্তিষ্কে সরাসরি বিজ্ঞাপন নিয়ে ল্যান্ড করতে পারে না। 

কিন্তু বর্তমানে টেকনোলজির যে দুর্দান্ত গতি, তাতে মনে হচ্ছে এমন যুগ শীঘ্রই আসছে; যখন সরাসরি মানুষের মস্তিষ্ক-ই হবে বিজ্ঞাপণ দেয়ার প্লাটফর্ম। মস্তিষ্ক আপনার, কিন্তু সেখানে চিন্তা কেনাবেচা করবে বিভিন্ন কোম্পানি!

অদ্ভুত না?!

যেকোনো কম্পিউটার / স্নার্টফোনে যেভাবে ইউনিক IP Address থাকে তেমনি পৃথিবীর সবগুলো ব্রেইনের একেকটা Brain Address থাকবে। যেটা দিয়ে সব মানুষকে আলাদাভাবে ট্র‍্যাক করা যাবে। 

তখন 'ব্রেইন প্রোভাইডার' নামে কিছু কোম্পানি থাকবে, যারা আমাদের ব্রেইনের একটু স্পেস ভাড়া নেয়ার জন্য প্রতিযোগিতায় লিপ্ত থাকবে। তারপর তারা সেসব ব্রেইনে বিভিন্ন কোম্পানির মাধ্যমে বিজ্ঞাপন বসিয়ে বিজনেস করবে। 

আর একটু সহজ করে যদি বলি, বর্তমানে কোনো ওয়েবসাইট বা অ্যাপ্লিকেশনে (যেমন ফেসবুক, ইউটিউব ভিডিও) হোস্ট কোম্পানিগুলো বিজ্ঞাপন বসিয়ে বিজনেস করে যাচ্ছে। কিন্তু তখন এসব মধ্যবর্তী প্লাটফর্মগুলোর আর প্রয়োজন হবে না। সরাসরি আমাদের মস্তিষ্ক-ই হবে বিজ্ঞাপন বসানোর প্লাটফর্ম। 

ধরুন, এই মুহুর্তে আপনার একটা স্মার্টফোন কেনা দরকার- এটা ভাবা শুরু করলেন; আর সাথে সাথেই Samsung, Vivo, Realme, Xiaomi এর তৈরি করা সাম্প্রতিক বিজ্ঞাপনগুলো আপনার চিন্তার মধ্যে ঢুকে গেলো। তারপর আপনি সেসব চিন্তা থেকে বিভিন্ন ফিচার যাচাই-বাছাই করেই সিদ্ধান্ত নিলেন কোনটা কেনা উচিত। প্রোডাক্টের রিভিউ ভিডিও দেখা বা রিভিও আর্টিকেল আর পড়া লাগলো না।

বর্তমানে দেখা যায়, মোবাইল ওপেন করলে সেখানে- 'অ্যাড', টেলিভিশন ওপেন করলে সেখানেও- 'অ্যাড'। বিরক্ত হয়ে ইলেক্ট্রিক ডিভাইস রেখে বাহিরে হাঁটতে গেলেন; সেখানে গিয়ে দেখা গেলো "যেদিকে তাকান সেদিকেই অ্যাড।"

আজকাল এমনকি শৌচাগারে গিয়েও বিজ্ঞাপন থেকে রেহাই পাওয়া যায় না। টয়লেট ক্লিনার, ডিটারজেন্ট, এয়ার ফ্রেশনার, বেসিন, কমোড, ট্যাপ, বদনা সহ টয়লেট্রিজ প্রোডাক্টগুলোতে নানা বিজ্ঞাপন বসানো থাকে; আর সেগুলো তখন মস্তিষ্কে ঘুরতে থাকে। 

বর্তমানেই বিজ্ঞাপনের এই ভয়াল অবস্থা, এমন যুগ যদি এসেই যায়, যখন আমাদের মস্তিষ্কে সরাসরি বিজ্ঞাপন বসাতে পারবে, তখন আমরা কোথায় গিয়ে নিজেকে কয়েক মিনিটের জন্য নিরাপদ রাখবো?

তখন দেখা যাবে আমাদের ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন গুলোও হবে একেকটা প্রোডাক্ট এর বিজ্ঞাপন নিয়ে। কোম্পানি আমাদের স্বপ্নগুলোকে একেক রাতের জন্য ভাড়া নিবে। সকালে উঠে স্বপ্নে দেখা প্রোডাক্টগুলো কেনার চিন্তা করলেন। সাথে সাথে দরজায় কলিং বেল। খুলে দেখলেন দরজার সামনে 'ড্রোন' আপনার প্রোডাক্ট নিয়ে হাজির।

তখন যাদের আর্থিক অবস্থা ভালো থাকবে তারা চাইলে নিজের ব্রেইন এর প্রিমিয়াম ভার্সন নিয়ে নিতে পারবে; যেখানে কোনো অ্যাড এর ঝামেলা থাকবে না। অর্থাৎ বর্তমানে আমরা কোনো অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে অ্যাড বন্ধ করার জন্য প্রিমিয়াম / পেইড ভার্সন নিয়ে থাকি। তখন আমাদের মস্তিষ্কে যাতে অতিরিক্ত অ্যাড না আসে সেজন্য 'ব্রেইন অ্যাড ব্লকার' / 'ফ্রি ব্রেইন' / 'সেইফ ব্রেইন' নামে বিভিন্ন সফটওয়্যার বা টুলস থাকবে। কিন্তু সাধারণ মানুষদের কী হবে?!

জানি না, এগুলো আসলেই সম্ভব হবে কিনা। সবই কাল্পনিক ধারণা মাত্র। তবে Artificial Intelligence, Virtual Reality, Machine Learning, Data Science যে দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে চলছে তাতে তো সেরকম আভাসই পাওয়া যাচ্ছে। Brain Chip আবিষ্কার সফল হয়ে গেলে তো আর কোনো কথাই নেই...! 

হিউম্যান কর্তৃক আবিষ্কার এর দশাই যদি এমন হয়, তাহলে সেই হিউম্যানদের 'আবিষ্কারক' মহান সৃষ্টিকর্তা আরও কত কিছুই না করতে পারেন...!

[Please don't take this post seriously, just take as imagination]

Share: