বিষয়টি কারও কারও কাছে তুচ্ছ মনে হলেও আমাকে অনেকটা ভাবিয়েছে!
আমার এক ছাত্রীর ৬-৭ বছরের ছোট একটা বোন আছে। ছাত্রীকে পড়ানোর সময় ওর বোন প্রায়ই আমাদের পাশে বসে নানান ধরণের চিত্রাঙ্কন করতে পছন্দ করে। ওর মধ্যে ছবি আঁকার একটা ন্যাচারাল ক্যারিজমা অনেক দিন ধরেই খেয়াল করেছি। তাই আমিও মাঝেমধ্যে ক্রিয়েটিভ কিছু আঁকতে উৎসাহিত করতাম।
একদিন ছাত্রীকে পড়াচ্ছি; হঠাৎ খেয়াল করলাম ওর বোন বৃত্তাকার ও পতাকার মতো কিছু একটা আঁকার চেষ্টা করছে। নিচের প্রথম ছবিতে ডান পাশে বৃত্তাকার যে ছোট বস্তুটি দেখছেন- এটি ওর জামার একটি বোতাম। বোতামটি ছিড়ে যাওয়ায় এটির-ই প্রতিরুপ আঁকার চেষ্টা করছে।
কিন্তু আপনি জানেন কি? এটি কিসের লোগো? বা প্রতিক? বা পতাকা?
আমি প্রায় নিশ্চিত যে- এটি LGBT বা সমকামী গোষ্ঠীর লোগো। নিচের ২য় ছবিতে LGBT দের পতাকা আছে।
যারা LGBT সম্পর্কে জানেন না-
LGBT হচ্ছে Lesbian, Gay, Bisexual, ও Transgender দের একটি বিশ্বব্যাপী গোষ্ঠী বা সংগঠন। এক কথায় বলতে গেলে, তারা ছেলেদের সাথে ছেলেদের বা মেয়েদের সাথে মেয়েদের শারীরিক সম্পর্ক বা বিয়েকে প্রমোট করার চেষ্টা চালাচ্ছে। সমগ্র বিশ্বে সমকামীতা ছড়ানোর জন্য তারা নীরব ও পরিকল্পিত আন্দোলন করে যাচ্ছে। তবে বাংলাদেশে এখনও এটা রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ অবস্থায় আছে।
অনেকে আবার বলতে পারেন- বোতামটিতে Rainbow বা রংধনু'র প্রতিক অঙ্কন করা। কিন্তু রংধনুতে তো ৭ টি ভিন্ন ধরণের রঙ থাকার কথা। অথচ এখানে ৬টা। আর LGBT প্রতিকেও ৬টি -ই কালার। তাহলে এই লোগো LGBT ছাড়া আর কী হতে পারে?
আমার কথা হচ্ছে- ছোট ও নিষ্পাপ একটা বাচ্চার পোশাকে কেন এই লোগোটি জড়িয়ে দেয়া হলো? আমি জানি না, তারা এটা অনিচ্ছাকৃতভাবে করেছে? নাকি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র?
তবে যদি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র-ই হয়ে থাকে, তাহলে আমি বলবো- আমাদের নতুন প্রজন্মদের জন্য আসলেই এক ভয়াবহ সময় অপেক্ষা করছে। হয়তো শিশুটি এই মুহুর্তে লোগোটির কিছুই বুঝতেছে না, তবে ওর মস্তিষ্কে এই চিত্রটি খুব ভালোভাবেই রেকর্ড হয়ে যাচ্ছে। পরবর্তীতে যখন কোথাও এই লোগো দেখতে পাবে তখনই কৌতূহল বশত এটি নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করার আগ্রহ দেখাতে পারে। বড় ধরণের ষড়যন্ত্র গুলোর প্রমোশন এভাবেই সুপরিকল্পিত সিস্টেমে হয়ে থাকে।
তবে আমি চাই, এটি যেন অনিচ্ছাকৃত কাজই হয়। অন্তত আমার দেশ 'বাংলাদেশ'টা আর অশালীন না হোক। কিন্তু তারা এটা ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত যেভাবেই করুক, আমাদেরকে সচেতন হওয়া উচিত। LGBT দের নিষ্ঠুরতম এই প্রচেষ্টাকে কোনোভাবেই বাংলাদেশে চালু হতে দেয়া উচিত না।
কেউ বলতে পারেন, আমি নিজেই তো LGBT প্রমোট করলাম। তবে আমি বলবো, আমার উদ্দেশ্য ইতিবাচক ছিলো। আপনি এটি নেতিবাচক ভাবে নিলে ফলাফলও সেভাবেই হবে। অন্যায়ের দৃষ্টান্ত প্রচার করার মানেই অন্যায় প্রমোট করা নয়, নিজেকে সেসব অন্যায়ের কালো থাবা থেকে মুক্ত রাখার উপায় খুঁজে বের করাটাই মূখ্য উদ্দেশ্য।