ফেসবুকের অ্যালগরিদম দিন দিন এতোটাই আপগ্রেড হচ্ছে, টাইমলাইনে প্রতিটা মুহুর্ত স্ক্রলিং বা প্রতিটা বাটন প্রেসিং এ আমাদের মস্তিষ্কে যে পরিমাণ ডোপামিন নিঃসৃত হচ্ছে, তাতে এখন আমাদের নিয়মিত 'ডোপামিন রোজা' (Dopamine Fasting) রাখা অনিবার্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
(ডোপামিন হচ্ছে এক ধরণের হরমোন, যা মানুষের আনন্দদায়ক কোনো কাজের সময় মস্তিষ্কে নিঃসৃত হয়। যেমনঃ সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহার, গেমিং, ঘুম, প্রিয় খাবার খাওয়া, সেক্স ইত্যাদি।)
বর্তমানে কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা যার যার কন্টেন্টকে এতোটা আকর্ষণীয় করার প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেছে; যার কারনে ইউজাররা নিজের অজান্তেই ঘন্টার পর ঘন্টা বিপুল পরিমাণ ডোপামিন নিঃসৃত করে যাচ্ছে; যা হয়তো অনেক সময় সেক্সুয়াল মোমেন্টেও নিঃসৃত হয় না।
টেকনোলজি দিন দিন এভাবেই নিজেদের প্রোডাক্ট আপগ্রেড করে যাবে; যাতে মস্তিষ্কে আরও বেশি পরিমাণে ডোপামিনের নিঃসরণ ঘটানো যায়। কারন, ডোপামিন নিঃসরণ - ইউজার ট্রাফিক এর সমানুপাতিক। আর ইউজার ট্রাফিক - পকেটে টাকা হাতিয়ে নেয়ার সমানুপাতিক।
কিন্তু মানুষের মস্তিষ্কের গঠন তো আর টেকনোলজির জেনেরেশনের সাথে তাল মিলিয়ে পরিবর্তন হতে পারবে না। বিবর্তনের নিয়ম অনুসারে একটা সময় টেকনোলজির কাছে হার মেনেই যাবে।
তাই এই মহামূল্যবান ডোপামিন রক্ষার্থে এখন আমাদের উচিত ফেসবুক বা অন্যান্য সোস্যাল মিডিয়া থেকে রেগুলার সাময়িক ব্রেক নেয়া, অর্থাৎ 'ডোপামিন রোজা' রাখা। অ্যামেরিকার অনেকেই এই ডোপামিন রোজা (Dopamine Fasting) রাখেন।
Short time ID deactivation, Enabling the setting of 'Break' for every 15 minutes, Enabling the setting of Sleeping Time, Checking Regular Screen Time, Minimizing Posting, Commenting, Reacting or other Activities, Disabling the Counting of Reaction, Checking regular statistics on social media activities -সহ এরকম অনেক উপায়ে আপনি 'ডোপানিন রোজা' রাখতে পারেন।
এছাড়া মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করার জন্য বর্তমানে অনেক ধরণের ফোকাসিং মোবাইল অ্যাপ পাওয়া যায়। সেগুলোও ব্যবহার করতে পারেন।