বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের #CSE ডিপার্টমেন্ট কেমন এ নিয়ে ডিপার্টমেন্ট এর ভিতর বা বাহিরে অনেকের মধ্যেই বিভিন্ন ধরনের মতামত বা দ্বিধা-দ্বন্দ ও গুঞ্জন শোনা যায়।
অনেকে BU CSE -কে সম্পূর্ণ অযৌক্তিকভাবে উপস্থাপন করে; কেউ কেউ সবকিছু জেনেও শুধুমাত্র ব্যর্থতা / অসংগতি গুলোকে হাইলাইট করে, আর ভালো দিকগুলো এড়িয়ে যায়। আবার কেউ সঠিক তথ্য না জানার কারনে নিজের অজান্তেই ডিপার্টমেন্ট কে ভুলভাবে উপস্থাপন করে।
কিন্তু আমার মনে হয় সবার-ই নিজের ডিপার্টমেন্ট সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকা উচিত এবং বাহিরের সবাইকে স্বচ্ছ ও যৌক্তিক ধারণা / পরামর্শ দেয়া উচিত। সেটা ভালো বা খারাপ বৈশিষ্ট্য যা-ই হোক না কেন।
তাই আমি আমার প্রায় ৩ বছরের অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে আমার ডিপার্টমেন্টকে উপস্থাপন করার চেষ্টা করবো।
(বেশ কয়েকজন অনুজ ও শুভাকাঙ্খী আমার কাছে ডিপার্টমেন্ট নিয়ে বিভিন্ন ধরণের প্রশ্ন করেছিলো। যেগুলো আলাদা আলাদা ভাবে সবাইকে জানানো কিছুটা কষ্টসাধ্য ও সময়সাপেক্ষ। তাই এখানে আমি সম্মিলিত ভাবে সবকিছুর উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবো।)
..................................................................
আমি এই পোস্টে ডিপার্টমেন্ট সম্পর্কিত নিচের বিষয়গুলো নিয়ে ধাপে ধাপে আলোচনা করার চেষ্টা করবো।
1. ল্যাব ফ্যাসিলিটি
2. ডিপার্টমেন্টের অ্যাচিভমেন্ট
3. শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের সম্পর্কে, এবং
4. সেশন জট
#মূল_টপিকে যাওয়ার আগে কয়েকটি বিশেষ বিষয়ে বলে নিচ্ছিঃ
১.
ডিপার্টমেন্টে এখনও আমি অনেকের চেয়ে জুনিয়র। তাই আমার চেয়েও বেশি অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ভাই / আপুরা ডিপার্টমেন্টে অনেক আছেন। ফলে আমার লেখা দুয়েকটি তথ্য এদিক-সেদিক হয়েই যেতে পারে; বা আমার মতের বিপক্ষে কেউ কেউ থাকতে পারেন। এরকম যদি হয়ে থাকে তাহলে দয়া করে আমাকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং অনুগ্রহ করে আপনার সঠিক ও যৌক্তিক তথ্য / মতামত গুলো জানিয়ে আমাকে শুধরিয়ে দিবেন।
ডিপার্টমেন্ট কে জাজ করার যোগ্যতা এখনও আমার হয়নি। আমি শুধু আমার কিছু অভিজ্ঞতার আলোকে ডিপার্টমেন্ট সম্পর্কে এক গুচ্ছ তথ্য উপস্থাপন করতে যাচ্ছি।
২.
প্রতিটা ডিপার্টমেন্টের-ই কিছু অসংগতি বা সীমাবদ্ধতা থাকবেই। তেমনি আমাদেরও আছে। তবে আমি এখানে বেশিরভাগ পজিটিভ দিক গুলো নিয়েই আলোচনা করবো।
কারন- অর্ধেক পানি ভর্তি কোনো গ্লাসকে কেউ বলবে, "অর্ধেক পানি তো নেই"; আবার কেউ বলবে, "অর্ধেক নেই তাতে কি? বাকী অর্ধেক তো আছে।" তো, আমি ২য় মতামতে বিশ্বাসী। তবে ডিপার্টমেন্ট এর কিছু কিছু প্রধান সীমাবদ্ধতাও এখানে তুলে ধরার চেষ্টা করবো।
৩.
আমাদের ডিপার্টমেন্টের বয়স তেমন বেশি বছর হয়নি; যা দেশের অনেক সিএসই ডিপার্টমেন্ট থেকেই কম। তাই সামগ্রিক ও যৌক্তিক ভাবে আমাদের ডিপার্টমেন্ট থেকে অনেক বেশি কিছু এক্সপেক্ট করাটাও উচিত হবে না। তবে সবদিক বিবেচনা করলে তুলনামূলক আমাদের ডিপার্টমেন্ট একেবারে কমও এগিয়ে যায়নি। ডিপার্টমেন্টে স্যারদের সহযোগিতা বা নিজেদের ব্যক্তিগত চেষ্টায় অনেক ভাই / আপুরা বিগত বছরগুলোতে ভালো কিছু করে দেখিয়েছেন, যেগুলো সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করবো।
৪.
যারা ডিপার্টমেন্টকে সর্বদা নেগেটিভ ভাবে হাইলাইট করে তাদের কাছে আমার একটা প্রশ্ন করতে ইচ্ছা করে, "আপনি নিজে এখন পর্যন্ত ডিপার্টমেন্টকে কী কী দিয়েছেন?" কারন একটা ডিপার্টমেন্টের সুনাম তো শিক্ষার্থীদের অর্জনের মাধ্যমেই হয়। সেটা ব্যক্তিগত চেষ্টা অথবা যেভাবেই হোক না কেন।
(Edited: ৪নং অর্থাৎ এই অংশটি আমার লেখা উচিত হয়নি। পরবর্তীতে অনুধাবন করেছি। কমেন্টে এ সম্পর্কে বিস্তারিত বলেছি।)
৫.
সর্বোপরি একটা বিষয় অতি সত্য যে, 'সিএসই' এমন একটা সাবজেক্ট যেটায় প্রতিষ্ঠান তেমন বেশি ম্যাটার করে না। নিজের প্রচন্ড ইচ্ছা-আকাঙ্খা ও কঠোর পরিশ্রম-ই সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। ডিপার্টমেন্ট শুধুমাত্র আমাদেরকে সঠিক গাইডলাইন, প্লাটফর্ম এবং সিএসই সম্পর্কিত প্রতিটা ফিল্ডের জন্য ভালো একটা এনভাইরনমেন্ট দিবে। ডিপার্টমেন্ট কেমন সেটা জাজ করার আগে নিজেকে এবং নিজের কার্যক্রমকে জাজ করা উচিত।
.....................................................................
#তাহলে_এবার শুরু করা যাক...
<1>
#ল্যাব_ফ্যাসিলিটি
এখন পর্যন্ত আমাদের ডিপার্টমেন্টে মোট ৬টি ল্যাব আছে।
১. অ্যাডভান্সড প্রোগ্রামিং ল্যাব
২. অ্যাডভান্সড নেটওয়ার্কিং ল্যাব
৩. মোবাইল কম্পিউটিং ল্যাব
৪. আই.ও.টি ল্যাব
৫. ইলেকট্রনিকস ল্যাব
৬. ক্লাসরুম-১
এছাড়া, অত্যন্ত মনোরম ও বৃহৎ একটি ভিডিও কনফারেন্সিং রুম আছে। (কিন্তু এটি আমাদের ডিপার্টমেন্টের তত্ত্বাবধায়নে কিনা সেটি আমার ভালোভাবে জানা নেই। তবে আমরা কয়েকদিন এখানে কয়েকটা সেমিনারে অংশ নিয়েছিলাম।)
#
ল্যাবে পর্যাপ্ত কম্পিউটার আছে কিনা?
উপরের ১, ২ ও ৩ নং ল্যাবের প্রতিটিতেই পর্যাপ্ত সংখ্যক (গড়ে আনুমানিক ৪০+ করে) ডেস্কটপ আছে। ৪নং ল্যাবে (আনুমানিক) ৫০টার মতো হাই কোয়ালিফিকেশনের ল্যাপটপ আছে। এছাড়া এই ল্যাবে ডিজিটাল রাইটিং বোর্ড সহ আরও প্রয়োজনীয় অনেক ইলেকট্রিক ইকুইপমেন্ট আছে।
#
ল্যাবে পর্যাপ্ত প্রজেক্টর আছে কিনা?
১ থেকে ৫ পর্যন্ত প্রতিটি ল্যাবেই প্রজেক্টর আছে। এছাড়া প্রতিটি ল্যাবে পর্যাপ্ত সংখ্যক ও মানসম্মত কম্পিউটার ডেস্ক ও চেয়ার আছে। (যেখানে শুনেছি, আমাদের ভার্সিটির-ই কিছু কিছু ডিপার্টমেন্টে নাকি ঠিক ভাবে কাঠের বেঞ্চে বসারও জায়গা হয়না!)
#
ল্যাবে সিসি ক্যামেরা আছে কিনা?
১ থেকে ৬ পর্যন্ত সবগুলো ল্যাব, অফিস রুম, স্যারদের রুম সহ প্রায় সম্পূর্ণ ডিপার্টমেন্ট-ই সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
শ্রদ্ধেয় চেয়্যারম্যান স্যার নিজেই এগুলো মনিটরিং করেন।
#
ল্যাবে এয়ার কন্ডিশনার আছে কিনা?
৩, ৪ ও ৬ নং ল্যাব সম্পূর্ণ এয়ার কন্ডিশন্ড।
#
ল্যাবের সমস্যা সমূহঃ (আমার দৃষ্টিতে)
কয়েকটি ল্যাবের বেশ কিছু ডেস্কটপ এবং কিছু ইলেকট্রিক ম্যাটেরিয়াল সুরক্ষিত / তাৎক্ষনিক ব্যবহারযোগ্য অবস্থায় নেই। অর্থাৎ প্রয়োজনীয় ইন্সট্রুমেন্ট সব-ই আছে। কিন্তু অনেকেই ল্যাবের ডেস্কটপ ইউজ না করার কারনে রানিং অবস্থায় নেই। তবে কেউ যদি ল্যাবের ডেস্কটপ বা অন্যান্য যন্ত্রপাতি ইউজ করতে চায় তাহলে সে তার সুবিধামতো সবকিছু ঠিক করে নিতে পারবে। অনেক ভাইয়েরা সারারাত ল্যাবে থেকেও কাজ করেন।
আরেকটি সমস্যা হলো, কিছু কিছু ডেস্কটপ / ল্যাপটপে কেউ কেউ সম্পূর্ণ ব্যক্তিগতভাবে ইউজ করার জন্য পাসওয়ার্ড দিয়ে রাখে। তাই সেগুলো আনলক করতে গিয়ে মাঝেমধ্যে ঝামেলায় পরে যেতে হয়।
এছাড়াও ল্যাব অ্যাসিস্যান্ট-দের ল্যাবের প্রতি দায়িত্বহীনতা সহ আরও কিছু বিষয়ে অসংগতি থাকতে পারে। তবে আশা করি স্যাররা এসব সমস্যার সমাধান করবেন।
...............................................................................
<2>
#ডিপার্টমেন্টের_অ্যাচিভমেন্ট
আমাদের ডিপার্টমেন্ট এর প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সবগুলো অর্জন সম্পর্কে স্পষ্ট ভাবে আমার জানা নেই। তবে যেগুলো জানি সেসব নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করবো।
অ্যাচিভমেন্ট বা অর্জনকে আমি ৪ ভাবে ব্যাখ্যা করবোঃ
a) কম্পিটিটিভ প্রোগ্রামিং ফিল্ড
b) রিসার্চ ও প্রজেক্ট ফিল্ড
c) অ্যাকাডেমিক ফিল্ড
d) অন্যান্য
a)
কম্পিটিটিভ প্রোগ্রামিং ফিল্ড
(a.1)
যদি কেউ জিজ্ঞাসা করে, বরিশাল বিভাগের মধ্যে সেরা প্রোগ্রামার কে? তাহলে গর্বের সাথে উত্তর দিতে পারবো, তা আমাদের ডিপার্টমেন্টেই আছে। আমাদের ডিপার্টমেন্টে এমন কয়েকজন প্রোগ্রামার আছেন, যারা বিভিন্ন কম্পিটিশনে বিভাগীয় পর্যায়ে তো প্রথম হন-ই, জাতীয় পর্যায়েও তাদের অবস্থান অনস্বীকার্য।
যেমনঃ ইন্টারন্যাশনাল কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং কন্টেস্ট (ICPC - Dhaka Regional) - এ আমাদের ভার্সিটির টিম বরাবরই তুলনামূলক ভালো অবস্থানে আছে। গত কন্টেস্টে আমাদের টিম সারা বাংলাদেশের সব ভার্সিটির সবগুলো টিমের মধ্যে ২৬ তম অবস্থানে ছিলো! নতুন ভার্সিটি হিসেবে যার গুরুত্ব অনেক।
(বিঃদ্রঃ একই ভার্সিটির একাধিক টিমও পার্টিসিপেট করে। তাই পজিশনের দিক থেকে একটু পিছনে মনে হতে পারে। তবে অনেক নামকরা ভার্সিটির টিমও আমাদের থেকে নিচের দিকে ছিলো।)
বিস্তারিতঃ (Visit on the timeline of this profile)
https://www.facebook.com/All.Shahriar1
এছাড়া, National Collegiate Programming Contest (NCPC) -এও আমাদের ডিপার্টমেন্টর অবস্থান উল্লেখযোগ্য ছিলো।
এই ভাইয়ারা ভবিষ্যতে আমাদের ডিপার্টমেন্ট-কে যে খুব ভালো কিছু উপহার দিতে যাচ্ছেন সে ব্যাপারে সবাই-ই অত্যন্ত আশাবাদী।
(a.2)
আমাদের ডিপার্টমেন্টের এক সিনিয়র ভাই ভার্সিটি থেকে বের হওয়ার আগেই (৭ম সেমিস্টারে থাকাবস্থায়) এমন একটি জব পেয়ে গেছেন, যা সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলো। তিনি চিনের বিখ্যাত টেক জায়ান্ট কোম্পানি Bytedance (যে কোম্পানি TikTok অ্যাপ তৈরি করেছে) এর সিঙ্গাপুর অফিসে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে জব পেয়েছেন। যার স্টার্টিং স্যালারি প্রায় ৭ ডিজিটের কাছাকাছি (!!!)
বিস্তারিতঃ (Visit on the timeline of this profile) https://www.facebook.com/profile.php?id=100007443438750
এছাড়া, দেশসেরা কিছু সফটওয়্যার কোম্পানিতেও (যেমনঃ Inosis, Samsung) আমাদের কয়েকজন ভাই কর্মরত আছেন।
A great example:
https://www.facebook.com/SAMIULISLAM.JEHAD786
(He is the first software engineer from our department)
কয়েকজন ভাই অধ্যয়নরত অবস্থায়ই বিভিন্ন টেক ইন্ডাস্ট্রিতে ইন্টার্নশিপ বা ফুল টাইম জব পেয়েছেন।
<a.3>
ডিপার্টমেন্টে সিনিয়র ভাইদের উদ্যোগে এবং স্যারদের সহযোগিতায় মাঝেমধ্যে প্রোগ্রামিং কন্টেস্ট হয়। (যদিও আগে ততোটা হতো না।) গত ২৩ ডিসেম্বর, ২০২১ সিনিয়র ভাইদের উদ্যোগে Intra Department Programming Contest (IDPC) অনুষ্ঠিত হয়, যাতে বিজয়ীদের এবং বিজয়ী ব্যাচকে পুরস্কৃত করা হয়।
বিস্তারিতঃ
https://www.facebook.com/All.Shahriar1/posts/3166635816899792
এছাড়া, মাঝেমধ্যে নিজেদের উদ্যোগে ব্যাচওয়াইজ প্রোগ্রামিং কন্টেস্ট অনুষ্ঠিত হয়। যেমনঃ গত কয়েক বছরে ৫ম ব্যাচে অনেক গুলো প্রোগ্রামিং কন্টেস্ট হয়েছে।
<b>
রিসার্চ ও প্রজেক্ট ফিল্ডে কেমন অর্জন?
(b.1)
৫ম ব্যাচের কয়েকজন ভাই এগ্রো ড্রোন তৈরি করেন, যা ছিলো বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দ্বারা তৈরিকৃত প্রথম ড্রোন। এই অ্যাগ্রো ড্রোন আইডিয়া নিয়ে তারা আইসিটি মন্ত্রণালয়ের একটি স্টার্টআপ কম্পিটিশনে বিজয়ী হন এবং ১০ লক্ষ টাকা ইনভেস্টমেন্ট পান। এই ড্রোন নিয়ে দেশের বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় লেখালেখি হয়।
বিস্তারিতঃ
https://www.facebook.com/ohnayeem/posts/609135376178357
(b.2)
কিছুদিন আগে কয়েকজন সিনিয়র ভাই দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য এক ধরণের ইলেকট্রিক চশমা (টকিং গ্লাস) তৈরি করেন, যা দেশের বিভিন্ন টেলিভিশন ও জাতীয় পত্রিকায় দেখানো হয়।
বিস্তারিতঃ (এই পোস্টের কমেন্টে নিউজ গুলোর লিংক দেয়া আছে।) https://www.facebook.com/ohnayeem/posts/1128777804214109
(b.3)
এক ভাই বরিশাল ভার্সিটির সম্পূর্ণ তথ্য সম্মৃদ্ধ একটি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ তৈরি করেছেন, যেটি বরিশাল ভার্সিটির সবার জন্যই অনেক হেল্পফুল।
এটি প্লে স্টোরে পাওয়া যাবেঃ https://play.google.com/store/apps/details...
(b.4)
এছাড়া ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, গেইম ডেভেলপমেন্ট, আর্টিফিসিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং, মেশিন লার্নিং, ইথিক্যাল হ্যাকিং, সাইবার সিকিউরিটি, ডাটা সাইন্স, ফ্রি ল্যান্সিং সহ আরও কিছু সেক্টরে সিনিয়র ভাই / আপুরা বর্তমানে কাজ করে যাচ্ছেন।
<c>
অ্যাকাডেমিক ফিল্ডে কেমন অর্জন?
(c.1)
১ম ব্যাচের এক আপু আমাদের ডিপার্টমেন্ট থেকে হাই সিজিপিএ নিয়ে অনার্স কম্পিলিট করে উচ্চশিক্ষার জন্য জাপানে চলে যান। বর্তমানে তিনি লন্ডনে অধ্যয়নরত আছেন।
তিনি কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক পাওয়ার জন্য মনোনীত হন। যা ডিপার্টমেন্ট এর অনেক বড় একটি অর্জন।
বিস্তারিতঃ
https://www.facebook.com/CSahaUWO/posts/3320383461523332
এছাড়া, শুনেছি আরও কয়েকজন ভাই / আপু একাডেমিক রেজাল্টে খুব ভালো পারফরম্যান্স করেন এবং উচ্চশিক্ষার জন্য দেশের বাহিরে আছেন।
(c.2)
কয়েকজন ভাই এবং আপুর লেখা রিসার্চ পেপার ও আর্টিকেল বিভিন্ন পাবলিকেশনে (যেমনঃ গুগল স্কলার) পাবলিশ হয়েছে।
(c.3)
২০২১ সালে ভার্সিটির ভর্তি পরীক্ষার সম্পূর্ণ অনলাইন কার্যক্রম আমাদের ডিপার্টমেন্টের তত্ত্বাবধায়নে হয়েছিলো। যেটা ডিপার্টমেন্টের অন্যতম একটি অর্জন। যদিও এবারের অ্যাডমিশন সিস্টেমে কিছু কিছু ত্রুটি পরিলক্ষিত হয়েছিলো। তবে সেসব ত্রুটির পিছনে আমাদের ডিপার্টমেন্ট দায়ী ছিলো না। অন্যান্য কিছু কারন ছিলো।
#
তবে একটা বিষয় হচ্ছে- এতক্ষণ যত অর্জনের কথাই বললাম তার ম্যাক্সিমাম ক্রেডিট-ই দিতে হবে তাদের নিজেদের চেষ্টাকে। ডিপার্টমেন্ট-ই যে সবকিছু করে দিয়েছে এভাবে ভাবলে ভুল হবে। যে বিষয়টা আমি আগেই ক্লিয়ার করেছি।
...............................................................................
<3>
#ডিপার্টমেন্টের_টিচারদের_সম্পর্কে
আমাদের ডিপার্টমেন্টে বর্তমানে মোট ৯ জন শিক্ষক রয়েছেন। ৫ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ও ৪ জন লেকচারার।
৯ জনের মধ্যে ১ জন (বর্তমান চেয়ারম্যান স্যার) পিএইচডি প্রাপ্ত এবং ৩ জন উচ্চশিক্ষা / পিএইচডি নেয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া -তে আছেন।
একজন স্যার বর্তমানে বরিশাল ভার্সিটির 'আইটি ও নেটওয়ার্কিং' সেক্টর এর ডিরেক্টর, বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট এবং ভার্সিটির ফরমার অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রক্টর এর দায়িত্বে আছেন।
স্যারদের অ্যাকাডেমিক / প্রফেশনাল ব্যাকগ্রাউন্ড ও অন্যান্য তথ্য সম্পর্কে জানতেঃ
http://bu.ac.bd/?ref=teacher_profile_data_cse
এছাড়া, ডিপার্টমেন্টের অফিস রুমে কম্পিউটার অপারেটর (Adminstritive Officer) হিসেবে আছেন ২ জন এবং ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট / অফিস সহকারি হিসেবে আছেন ২ জন।
#
হয়তো আমাদের ডিপার্টমেন্টে পর্যাপ্ত সংখ্যক শিক্ষক কর্মরত অবস্থায় নেই, কিন্তু যারা বর্তমানে আছেন তাদের নিয়ে আমরা গর্ব করতে পারি। তারা অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথেই অ্যাকাডেমিক ও অন্যান্য কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
আমাদের স্যাররা অ্যাকাডেমিক টিচিং এর বাহিরেও আমাদের সাথে এতটাই আন্তরিক, যা কয়েকটা উদাহরণ দিয়েই প্রমাণ করা যায়।
১.
কিছুদিন আগে আমাদের এক ব্যাচমেট এর চিকিৎসার জন্য ৪ ব্যাগ ব্লাডের প্রয়োজন হয়েছিলো। এক স্যার কোনো এক ভাবে জানতে পেরে নিজ থেকেই আমাকে সহ আরও কয়েক জনকে ফোন দিয়ে ব্লাড ম্যানেজ করা সহ চিকিৎসার অন্যান্য সবকিছু ম্যানেজ করার জন্য নিয়মিত তাগিদ দিয়েছিলেন। এমনকি স্যার তাঁর ফ্যামিলি ডক্টর এর মাধ্যমে আলাদা ভাবে ওই ব্যাচমেট এর জন্য পরামর্শ নিয়েছিলেন। স্যার ৩-৪ দিন ধরে নিয়মিত আমাদেরকে ফোন করে প্যাশেন্ট এর খোঁজ খবর নিয়েছিলেন। এছাড়া, আমাদের এক শ্রদ্ধেয় ম্যাম ঐ প্যাশেন্টকে হাসপাতালে দেখতেও গিয়েছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক হিসেবে তাঁদের শত কর্মব্যস্ততার পরেও শিক্ষার্থীদের এমন পারসোনাল প্রবলেমে সহানুভূতি দেখানোটা আসলেই অনন্য।
২.
বিভিন্ন ভার্সিটিতে বেশিরভাগ ডিপার্টমেন্টেই প্রধান যে সমস্যাটা হয় সেটা হচ্ছে, সময়মতো নামাজ পড়তে না পারা; বা ইসলামিক অন্যান্য কাজ গুলো করতে বিভিন্ন ভাবে ইশারা-ইঙ্গিতে বাঁধাপ্রাপ্ত হওয়া। কিন্তু আমাদের ডিপার্টমেন্টে আলহামদুলিল্লাহ প্রায় সব শিক্ষকরাই ধর্মীয় চেতনার অধিকারী। আজ পর্যন্ত আমি একবারও শুনলাম না, কোনো শিক্ষার্থী নামাজের কথা বলে ক্লাস থেকে বের হতে পারেনি। এমনকি এটাও শুনেছি, কোনো এক ভাই এক্সাম হল থেকেও জামাতে নামাজ পড়ার জন্য বের হওয়ার অনুমতি পেয়েছিলেন।
আর, আমাদের ডিপার্টমেন্টে অনেকজন ভাইয়া / আপু সম্পূর্ণ ধর্মীয় বিধিনিষেধ মেনে পোশাক পরিধান করেন বা অন্যান্য নিয়ম মেনে চলেন। এভাবে চলতে গিয়ে আজ পর্যন্ত কাউকেই কোনো উসকানি মূলক কথা বা বাঁধার সম্মূখীন হতে শুনিনি।
৩.
কোনো একদিন দেখেছি, এক্সাম হলে আমার এক ব্যাচমেট উপস্থিত হতে পারেনি। হলে উপস্থিত স্যার তখন নিজ থেকে ওই শিক্ষার্থীকে ফোন করে খোঁজ নেন।
৪.
আমাদের এক ব্যাচমেট এর চোখে সমস্যা থাকার কারনে একদিন এক্সামের কোশ্চেন দেখতে একটু সমস্যা হয়েছিলো। স্যার তখন নিজে তাঁর রুমে গিয়ে ওই কোশ্চেন বড় ফন্টে প্রিন্ট করে আনেন এবং ঐ শিক্ষার্থীকে দেন।
৫.
আমাদের স্যাররা খেলাধুলাতেও অনেক আগ্রহী এবং শিক্ষার্থীদের নিয়মিত উৎসাহ দেন। এমনকি শ্রদ্ধেয় স্যাররা নিজেরাই আমাদের সাথে ক্রিকেট / ফুটবল খেলেছেন। এক স্যার সিরিয়াস ভাবেই ক্রিকেট, ফুটবল, ব্যাডমিন্টন অনেক ভালো খেলেন। তিনি ভার্সিটির বিভিন্ন স্পোর্টস প্রোগ্রামে নিজেই মাঠে উপস্থিত থেকে আমাদের ডিপ্ট সহ অন্যান্য ডিপ্টকে খেলাধুলা বিষয়ে বিভিন্ন গাইডলাইন দেন।
৬.
আমি ফেস করেছি এমন একটা ঘটনা শেয়ার করি। আমি একদিন কোনো একটা ক্লাসে কিছুটা অমনোযোগী ছিলাম। স্যারের লেকচার ঠিকভাবে খেয়াল করছিলাম না। কিন্তু স্যার আমাকে খেয়াল করেছিলেন। আমি ক্লাস শেষে যখন ভার্সিটির বাসে করে বাসায় যাচ্ছি তখন অবাক হয়ে খেয়াল করলাম স্যার নিজেই আমাকে ফোন করেছেন, আর জিজ্ঞাসা করলেন, "নাঈম, তোমাকে আজ দেখলাম একটু অমনোযোগী। তুমি কি কোনো কারনে হতাশা / দুশ্চিন্তাগ্রস্থ আছো? কাল এসে আমার রুমে দেখা করো।"
পরের দিন আমি স্যারের রুমে দেখা করেছিলাম এবং আমার সাথে স্যার অনেকক্ষন ধরে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছিলেন।
এমনটা যে শুধু আমার সাথেই ঘটেছে এমন না। আমাদের স্যাররা অন্যান্য শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও এভাবে ইনডিভাইজুয়াল কেয়ার করার চেষ্টা করেন বলে আমি জানি।
#
এরকম আরও অনেক উদারহণ দিতে পারবো, যেগুলো নিঃসন্দেহে প্রমাণ করে দিবে আমাদের স্যাররা আমাদের উপর কতটা আন্তরিক।
যদিও স্যারদের কিছু কিছু বিষয়ে বা কার্যক্রমে কারও কারও দ্বিমত / অসন্তুষ্টি আছে।
.....................................................................
<4>
#_সেশন_জট
'বিউ সিএসই' -তে প্রচুর সেশন জট' এ কথাটি অনেকের মুখেই শোনা যায়। আমিও পুরোপুরি এর বিপক্ষে নই। তবে কিছুটা বিপক্ষেও। কারনটা বিস্তারিতভাবে বলছিঃ
আমাদের ডিপার্টমেন্টে বর্তমানে প্রায় প্রতিটা ব্যাচেই সেশন জট যে আছে সেটা মানতেই হবে। উদাহরণস্বরুপ, আমরা ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হই। ২০১৯ এর শুরুতে ক্লাস শুরু হয়। সে অনুসারে বর্তমানে অর্থাৎ ২০২১ এর ডিসেম্বরে আমাদের ৬ষ্ঠ সেমিস্টারে থাকার কথা ছিলো। কিন্তু আমরা বর্তমানে মাত্র ৩য় সেমিস্টারের শেষের দিকে আছি। তার মানে আমরা প্রায় ৩ সেমিস্টার বা ১ থেকে ১.৫ বছর পিছিয়ে আছি। তাহলে অবশ্যই আমাদের সেশন জট আছে। আমাদের সিনিয়র ভাই / আপুদের হয়তো এর চেয়েও বেশি থাকতে পারে।
এবারে দেখা যাক, সম্প্রতি এই জটের পিছনে কী কী কারন থাকতে পারে?
১.
ভার্সিটির ভিসি আন্দোলনের জন্য ২০১৯ এর ২৬ মার্চ থেকে প্রায় ২ মাসের মতো ক্যাম্পাস বন্ধ ছিলো। যাতে আমাদের ডিপার্টমেন্টের কোনো ব্যর্থতা ছিলো না। কারন এটি সম্পূর্ণ ভার্সিটির একটা ফ্যাক্ট ছিলো, যার জন্য সব ডিপার্টমেন্ট-ই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
২.
করোনা মহামারীর জন্য ২০২০ এর ১৭ মার্চ থেকে প্রায় ১৮ মাস ধরে ক্যাম্পাস বন্ধ ছিলো। যার জন্য সেমিস্টার অনেক বেশি পিছিয়ে গিয়েছিলো।
যদিও কিছু কিছু ভার্সিটি করোনার মধ্যেও অনলাইনে তাদের কার্যক্রম অনেকটা এগিয়ে নিয়েছিলো। সেদিক থেকে আমাদের ডিপার্টমেন্টের কিছুটা ব্যর্থতা ছিলো বলে আমার মনে হয়৷ কারন আমাদের অনলাইন ক্লাস অনেক পরে শুরু হয়েছিলো।
৩.
পর্যাপ্ত সংখ্যক টিচার ডিপার্টমেন্টে কর্মরত না থাকার কারনেও কিছু সেশন জট হয়েছে বলে আমার মনে হয়।
৪.
এছাড়া যেকোনো সিএসই ডিপার্টমেন্টের-ই কিছু সার্বজনীন সীমাবদ্ধতা আছে, যেগুলোর জন্য সব ভার্সিটির সিএসই-তেই সেশন জট কিছুটা বেড়ে যায়।
যেমনঃ
- আমাদের একাডেমিক কার্যক্রম সেমিস্টার সিস্টেম হওয়ার কারনে প্রতি সেমিস্টারেই কিছু বেশি সময় চলে যায়, যা ইয়ার সিস্টেমে তেমন হয় না।
- আমাদের অনার্স এর সম্পূর্ণ সিলেবাস মোট ১৬৪ ক্রেডিট এর। (যেখানে ভার্সিটির অন্যান্য ডিপ্ট এর ক্রেডিট অনেক কম।) অর্থাৎ সরাসরি ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি গুলোতে যেভাবে সিএসই পড়ানো হয় অনুরুপ ফরমেটেই আমাদের সিলেবাস প্রস্তুত করা। এজন্য প্রতিটা কোর্সই শেষ করতে কিছুটা বেশি সময়ের প্রয়োজন হয়।
- এছাড়া, আমাদের প্রতিটা সেমিস্টারের প্রায় প্রতিটা কোর্সেই আলাদা ভাবে ল্যাব কোর্স থাকে। ল্যাব ক্লাস + এক্সাম কম্পিলিট করতেও কিছুটা অতিরিক্ত সময় ব্যয় হয়।
তবে আমি বলছি না, শুধু এসব কারনেই সেশন জট হয়েছে বা হচ্ছে। ডিপার্টমেন্টেরও আরও নিজস্ব কিছু ব্যর্থতা থাকতে পারে।
তবে কেউ যখন সর্বদাই সেশন জটের পিছনে শুধুমাত্র ডিপার্টমেন্টের ব্যর্থতা খুঁজে তখন সেটা অযৌক্তিক বলে মনে হয়।
তাই আমার মনে হয়, আমাদের স্যাররা আমাদেরকে যে ইচ্ছা / অবহেলা করেই প্রচন্ড জটের মধ্যে ফেলে দিয়েছেন, বিষয়টাকে আমার এমন বলে মনে হয় না।
তবে আশার বিষয় হচ্ছে- বর্তমানে পূর্বের চেয়ে তুলনামূলক দ্রুত গতিতেই ক্লাস, এক্সাম সহ সবকিছু চলছে।
যেমনঃ আমাদের ব্যাচে বর্তমানে একসাথে ২টা সেমিস্টারের কার্যক্রম চলছে। আমাদের ব্যাচের সম্মানিত কোর্স কোওর্ডিনেটর স্যার পিছনের সেশন জট গুলো কাটিয়ে ওঠার জন্য অত্যন্ত আন্তরিকভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
তাই আমার মনে হচ্ছে, ভবিষ্যতে এই সেশন জট সমস্যা অনেকটাই লাঘব হবে। প্রথম দিকের ব্যাচগুলো যতটা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ভবিষ্যতে আশা করি ততটা হবে না।
তবে বর্তমানে ডিপার্টমেন্ট এর চলমান কার্যক্রম অনুসারে অনুমান করা যায়, নতুন কোনো ব্যাচের অনার্সের সম্পূর্ণ কার্যক্রম শেষ করতে ৫ বছর বা এর চেয়ে একটু বেশি সময় লাগতে পারে। তবে এটা চূড়ান্ত কোনো তথ্য নয়। (শুধুমাত্র আমার মনে হচ্ছে)। হয়তো এর চেয়ে বেশিও হতে পারে। আবার এমনও হতে পারে- আরও অনেক কম সময়েই শেষ হয়ে গেলো। কারন স্যাররা বর্তমানে সেমিস্টার দ্রুত চালিয়ে নেয়ার ব্যাপারে ভালোই ইফোর্ট দিচ্ছেন। এছাড়া করোনা মহামারী বা ভিসি আন্দোলনের মতো বড় গ্যাপ যাওয়ার সম্ভাবনা তো এখন পর্যন্ত নেই।
আজ এ পর্যন্তই।
.....................................................................
#পরিশেষে_আবারও_বলছি, কোথাও কোনো ভুল-ত্রুটি হলে অনুগ্রহপূর্বক ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং শুধরিয়ে দিবেন। ডিপার্টমেন্টে আগত নতুনদের জন্য শুভকামনা! আল্লাহ হাফেজ।
ধন্যবাদান্তে,
Obaydul Hasan Nayeem
ভর্তি শিক্ষাবর্ষঃ ২০১৮-১৯
ভর্তি মেধাক্রমঃ ৩১ (ভর্তি পরীক্ষা- ২০১৮)
৬ষ্ঠ ব্যাচ (ডিপার্টমেন্ট), ৮ম ব্যাচ (ভার্সিটি)
কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল
Again Written on Sep 24, 2022:
#About_BU_CSE
One day someone asked me about the overall conditions in our department. I've tried to give some info. Hope you'll be helpful from it.
#The_question_was:
"Need some information about the CSE department of University of Barishal. I'm an admission candidate and I want to know about the CSE department facilities as I wish to admit in Barishal University."
#The_Answer:
1)
You can read this post to know the previous condition of our department. This post was written about one year ago.
2)
Though there was some inconvenience in previous years, the present condition is appreciable than before. Our running chairman Sir is conducting our department more efficiently.
3)
I hope you've heard about the recent achievements in our department. The #Google Job is the historical news of them.
4)
You can visit this website to know about the academic curriculum of BU CSE. Here you'll find all the academic resources of CSE (undergrad).
5)
Official Page of the "CSE students welfare association".
https://www.facebook.com/CSEwelfare/
6)
You can get some knowledge about the activities of our department. But recently this page is not running properly. So the most recent activities are not available here.
https://www.facebook.com/cse.barisaluniv.edu
I hope this information will help you to find your answer. Best wishes to you!